সৃজনশীলতা বাড়ানোর সেরা 10 টি উপায়

 নতুন কিছু সৃষ্টিকেই তো সৃজনশীলতা বলে। আসলে কারা সৃজনশীল? যারা নতুন কিছু চিন্তা-ভাবনা করে তারাই সৃজনশীল ব্যক্তি। 


যে দশটি বিষয় মানুষের সৃজনশীলতা বিকাশে সাহায্য করেছে 10 টি বিষয় নিচে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।


1. হাসুন:

শরীরের পরিপাক তন্ত্র সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে হাসি।  হাসি আপনাকে আরো শক্তি দেয় এবং চাপ থেকে মুক্ত করে। কঠিন কোন রোগে ভোগা রোগীদের অধিকাংশ ডাক্তার ই হাসতে উৎসাহিত করেন।  প্রতিদিন অন্তত 1 ঘন্টা প্রত্যেকের হাসা উচিত। হাসিমুখের অনেক সামাজিক উপকারিতা ও আছে। রসবোধসম্পন্ন মানুষেরা হাসির মাধ্যমে অপরের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে। তাদের জীবন মানুষকে আকৃষ্ট করেন। হাসি ছাড়া কোন ভাবে আপনি আপনার জীবন উপভোগ করতে পারবেন না। এছাড়াও হাসলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা খানিকটা বেড়ে যায়।

2. প্রকৃতির সঙ্গে সময় কাটান:

এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে সঙ্গে আপনার যোগাযোগ ঘটায় প্রকৃতি। প্রকৃতির কাছে গেলে আমরা বুঝতে পারি যে আমরা কতটা বিশাল একটা কিছুর অংশ। আমাদের চেনা জানা গণ্ডির বাইরে ও পৃথিবীটা অনেক বড়। প্রকৃতির সংস্পর্শ মানুষকে ভেতরের সৌন্দর্য এবং বাইরের সৌন্দর্য দুটো বুঝতে ই সাহায্য করে। জীবনটাকে একটা নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখতে শেখায় প্রকৃতি। তাই প্রকৃতির সঙ্গে সময় কাটালেই মানুষের সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটে।

3. নিজের ভেতরের শিশুটাকে জাগিয়ে তুলুন:

 শিশুরা বিশ্বাস করে যে সবই সম্ভব। শিশুরা সব সময় বর্তমানে বসবাস করে।  শিশুরা সব কিছু ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখে এবং তারা কল্পনাপ্রবণ। তাই জীবনটাকে উপভোগ করার একটি সূত্র হল আজীবন শিশু থাকা। শিশুদের মত বিশ্বাস করুন- সবকিছুই সম্ভব।  তাহলে জীবনটাকে উপভোগ করতে পারবেন। 

4. লম্বা করে দম নিন:


নিঃশ্বাস আছে এর মানে হলো আপনি নিঃশেষ হয়ে যাননি।  আপনি যত গভীর ভাবে শ্বাস নেবেন,  জীবনটা কেউ ততটা গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পারবেন। প্রতিদিন 15 মিনিট সময় নিয়ে আপনার শ্বাস প্রশ্বাসের শব্দ শুনুন। এর যেমন শারীরিক সুফল আছে তেমনি এটা আপনার মনকে ও প্রশান্তি দেবে।  করবে শ্বাস নিলে আপনার চারপাশে কি ঘটছে কেন ঘটছে কিভাবে ঘটছে তা অনুধাবন করতে পারবেন। জীবনে সফল হতে হলে প্রথমে জানতে হবে-  কোন বাধা আমায় থামিয়ে দিচ্ছে?

5. আনন্দের উপলক্ষ তৈরী করুন:

 জীবনে আনন্দ থাকা অনেক গুুরুত্বপূর্ণ। মানুষের সফল না হওয়ার পেছনে অন্যতম বাধা হলো,  আমরা জীবনের আনন্দদায়ক মুহূর্ত তৈরি  করার পেছনে বেশি সময় দেই না। আনন্দ নিজেকে তৈরি করে নিতে হয়।  প্রতিদিন অন্তত তিনটি আনন্দের মুহূর্ত তৈরি করতে হবে। এটা সাইন্টিফাইক্যালি প্রভু যে- কোন মানুষ অখুশি থাকলে তার সৃজনশীলতার সকল পথ বন্ধ হয়ে যায়। আনন্দ মানুষের ভেতরের সকল সম্ভাবনার দরজা খুলে দেয়।

6. নিজের সহজাত প্রবৃত্তির ওপর আস্থা রাখুনঃ

 মূলত আপনার সহজাত গুণগুলোই আপনাকে সৃজনশীলতার পথ দেখায়। নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন। নির্ভয় এ আপনার উদ্ভাবনী ভাবনাকে অনুসরণ করুন। তবে বেঁচে থাকার উদ্দেশ্য আর অর্থ খুঁজে পাবেন।

7. ছবি আঁকুন:

যারা ছবি আঁকে তাদের মাথায় এমন সব ভাবনা উঁকিঝুঁকি মারে যে সেগুলোর অস্তিত্ব সম্পর্কে তাদের কোন ধারণা ছিল না। অর্থাৎ নতুন সব আইডিয়া মাথায় আসে। ছবি আঁকা সৃজনশীলতার ভাবনা বিকাশে অনেকটা সহায়ক।

8. গান করুন:


 মনের ভেতরের আওয়াজ বেরিয়ে আসতে সাহায্য করে গান। আপনার নিজস্ব ভাবনা টা সকলেই কেড়ে নিতে চাইবে। আপনি কিভাবে মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন কিভাবে মানুষের সঙ্গে মিশেছেন সেটাই বলে দেবে আপনি কেমন জীবন যাপন করছেন। নিজের চাওয়া দাবিগুলো স্পষ্টভাবে বলতে হলে আপনার অবশ্যই একটা শক্তিশালী কণ্ঠস্বর থাকা  চাই।

9. গান শুনুন:

গান আমাদের অনুভূতি গুলোকে ছুঁয়ে দেয়। জীবনের স্পন্দন এর সাথে আমরা গানের স্পন্দনের মিল খুঁজে পাই।  দৃশ্যমান পৃথিবী থেকে দূরে সরে অদেখা পৃথিবী কে অনুভব করতে সাহায্য করে গান। মনকে স্থির করতেও গান সাহায্য করে। 

10. নাচুন:

 8 হাজার বছর ধরে নাচ মানুষের অভিজ্ঞতার অংশ।   নাচের মাধ্যমে আপনি আপনার ভেতরের সৃজনশীলতার  স্পন্দন টের পাবেন। আপনি যে সকল প্রশ্নের উত্তর করছেন সব লুকিয়ে আছে আপনার শরীরের মধ্যে।কারনঃনরন- চরন ছাড়া কিছুই ঘটে না।


Sudipto Sarkar.

                  Want#1




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ