শারীরিক অপূর্নতা কোনদিনও জীবনে বাধা হতে পারে না। শিক্ষা নিন কনফুসিয়াস এর জীবনী থেকে

 



কনফুসিয়াস: মানুষকে ভালবাসতে শিখিয়েছিলেন যিনি





চীনের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য  এবং চীনা সভ্যতার এক অপূর্ব মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন যে ব্যক্তি, চীনের অধিকাংশ মানুষ আজো যার দর্শন ও মতবাদকে এখনো জীবনের পথচলার প্রধান অঙ্গ হিসেবে মেনে চলেন তিনি হচ্ছেন মানবতাবাদী দার্শনিক কনফুসিয়াস। কনফুসিয়াস একাধারে ছিলেন একজন প্রভাবশালী চীনা দার্শনিক, শিক্ষক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।


তিনি ছিলেন কনফুসিয়ান তত্ত্বের প্রতিষ্ঠাতা। প্রায় ২,৫০০ বছর আগে প্রচারিত হয়েছেল তার এই তাত্ত্বিক মতবাদ। কিন্তু তা আজো সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। প্রাচীন এই দর্শনকে আবহমান চীনের সভ্যতা-সংস্কৃতির মূল নিয়ামক বলে মনে করেন অনেক ঐতিহাসিক। অনেকে আবার এই মতবাদকে নতুন এক ধর্মের প্রবর্তন হিসেবে ভাবতে চাইলেও বেশিরভাগ পন্ডিতই তার এই মতবাদকে দার্শনিক চিন্তাধারার ধারক ও বাহক হিসেবে মানেন।


চীনাদের চিন্তাধারা ও তাদের সামাজিক আচার-আচরণেও এর ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। চীনের মানুষ এখনও ‍নিজেদের সংস্কৃতির মধ্যে দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছেন তার আদর্শ ও শিক্ষা। তার এই মতবাদ শুধু চীনা রাজনীতি বা সাংস্কৃতির গন্ডির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, আশেপাশের অন্যান্য এশীয় দেশগুলোর মধ্যেও কনফুসিয়াসের দার্শনিক তত্ত্বের প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছিল।


জন্ম ও শৈশব


কনফুসিয়াস জন্মেছিলেন আনুমানিক ৫৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে। তার বাবার নাম কং হি ও মায়ের নাম হান ঝেঙ। কনফুসিয়াস নামে পরবর্তীকালে পরিচিত হলেও তার আসল নাম ছিল কঙ ফু তজু। লু নামে একটি ছোট প্রদেশের সরকারী কর্মচারী ছিলেন তার বাবা। তার শৈশব সম্পর্কে খুব একটা জানা যায় যায় না। তবে বিভিন্ন তথ্য থেকে জানা যায় যে, তার শৈশবকাল কেটেছে অপরিসীম দারিদ্র্যের মধ্য।



লু প্রদেশের মানচিত্র;


সেসময় চীন অনেকগুলো ছোট ছোট রাজ্যে বিভক্ত ছিল। ফলে এক রাজ্যের সাথে অন্য রাজ্যের যুদ্ধবিগ্রহ লেগেই থাকতো। এসব জনগোষ্ঠীর পারস্পরিক যুদ্ধবিগ্রহের ফলে সহায় সম্পত্তি হারাতে হয়েছিল কনফুসিয়াসের পরিবারকে। মাত্র তিন বছর বয়সে বাবাকে হারান কনফুসিয়াস। শোনা যায়, স্কুলে যাবার বয়স হতেই কনফুসিয়াসের মা ছেলেকে স্থানীয় একটি স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেন। কিছুদিনের মধ্যেই কনফুসিয়াস শিক্ষক-ছাত্র সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হন। অসাধারণ মেধা এবং জ্ঞান অর্জনে তার প্রবল আগ্রহের কারণে তার সমসাময়িক ছাত্রদের থেকে তিনি ছিলেন অনেক এগিয়ে। স্কুলের পাঠ্য পুস্তকের বাইরে নানা বিষয়ে ছিল তার অগাধ জ্ঞান। পাশাপাশি ধর্ম-দর্শনে তার পান্ডিত্য ছিল চোখে পড়ার মতো।





মহামানব কনফুসিয়াস;


জীবিকার সন্ধানে


কৈশোর পেরোতে-না-পেরোতেই জীবিকার সন্ধানে বেরিয়ে পড়তে হয় তাকে। কখনো মেষপালক হিসেবে কাজ করেছেন পশু খামারে, কখনো কেরানিগিরি বা লাইব্রেরির চাকরি, আবার কখনো বা শহরের উদ্যানগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ও দেখাশোনার দায়িত্বের কাজও করেছেন নিষ্ঠাভরে। কিন্তু পড়াশোনার পাট চুকিয়ে ফেলেননি কখনোই। অল্প বয়স থেকেই ছাত্রদের পড়াতে শুরু করেন তিনি। এর মধ্যে বিবাহ হয় কনফুসিয়াসের। ১৯ বছর বয়সে বিয়ে করেন কিগুয়ান নামের এক নারীকে। বিয়ের এক বছরের মধ্যেই জন্ম নেয় তাদের প্রথম সন্তান কঙ লি। মাত্র ২৩ বছর বয়সে কনফুসিয়াস মাতৃহারা হন।


রাজদরবারে চাকরির সুযোগ


সেই সময় চীনের সমাজ ব্যবস্থায় জনগণের অবস্থান অনুযায়ী তাদের পেশার শ্রেণীবিন্যাস করা হতো। কনফুসিয়াসের সামাজিক অবস্থান এবং জ্ঞানের কারণে তিনি ছিলেন শী শ্রেণীভুক্ত, যারা ভদ্র-মধ্যবিত্ত-বিদ্বান হিসেবে সমাজের সম্ভ্রান্ত ও শাসক শ্রেণীর সাথে মেলামেশার সুযোগ পেতেন। এই সময় লু প্রদেশের শাসক ছিলেন চি চি। কসফুশিয়াসের জ্ঞান ও পান্ডিত্যের কথা জানতে পেরে রাজা কনফুসিয়াসকে তার সভায় আমন্ত্রন জানান। প্রথম পরিচয়েই কনফুসিয়াসের পান্ডিত্যে মুগ্ধ হন রাজা। দারিদ্রের কথা  শুনে তিনি কনফুসিয়াসকে হিসাবরক্ষকের কাজে নিযুক্ত করলেন। কনফুসিয়াসের কর্মদক্ষতায় খুশি হয়ে রাজা তাকে আরো উচ্চতর পদে অধিষ্ঠিত করেন।


জ্ঞানের আলোকবর্তিকা ছিলেন কনফুসিয়াস


কনফুসিয়াস আকর্ষণীয় চেহারার অধিকারী না হলেও তার দৈহিক অপূর্ণতা তিনি তার মধুর ব্যবহার আর তার জ্ঞানের আলোকবর্তিকায় মুগ্ধ করেছেন তার কাছে আসা মানুষদের। আর উৎসুক মানুষও নিজেকে জ্ঞানের প্রদীপ্ত শিখায় আলোকিত করার জন্য তার কাছে আসতো শিষ্যত্ব গ্রহণের উদ্দেশ্যে। কনফুসিয়াস বিশ্বাস করতেন, নীতিজ্ঞানের মাধ্যমে শিক্ষা দান করতে পারলে তার গ্রহণযোগ্যতা থাকে সবচেয়ে বেশি।





ছাত্রছাত্রীদের বিদ্যাদানে ব্যস্ত কনফুসিয়াসের পোট্রেট;


তিনি তার ছাত্রছাত্রীদের ছয়টি বিদ্যার ওপর জোর দিতেন। ধনুর্বিদ্যা, হস্তলিপি, হিসাববিদ্যা, সঙ্গীত, রথ চালনা এবং সমাজের রীতিনীতি জ্ঞান শিক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে উপযুক্ত ও আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সচেষ্ট ছিলেন। শিক্ষক হিসেবে, আচার্য হিসেবে তার খ্যাতি ক্রমশ দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। প্রথমদিকে সাধারণ ঘরের ছেলেমেয়েরা তার কাছে শিক্ষা নিতে আসলেও পরে অভিজাত ঘরের ছেলেমেয়েরাও জ্ঞান লাভের জন্য কনফুসিয়াসের শিষ্যত্ব গ্রহণ করে। ধীরে ধীরে কনফুসিয়াস আর্থিকভাবে  স্বচ্ছল হয়ে উঠতে লাগলেন। ঐ সময় ধীরে ধীরে অভিজাত শ্রেণীতে তিনি আরো জনপ্রিয় হয়ে উঠলেন। তার প্রভাব আরো বহুগুণ বৃদ্ধি পেল।


জ্ঞানের তৃষ্ণায় নিরন্তর ছুটে চলা


এর মাঝেও কনফুসিয়াসের জ্ঞান অর্জনে কোনো খামতি ছিল না। প্রাচীন পুঁথি সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন জায়গার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়তেন। যেখানেই দুষ্প্রাপ্য কোনো পুঁথির সন্ধান পেতেন, তা সংগ্রহের জন্য ছুটে যেতেন। সেসব পুঁথি শুধু সংগ্রহই করতেন না, গভীর আগ্রহে নিয়ে খুব মনযোগ সহকারে সেই পুঁথিগুলো পড়তেন এবং তার অন্তর্নিহিত তাৎপর্য খুঁজে বের করার চেষ্টা করতেন। কনফুসিয়াসের যখর ত্রিশ বছর বয়স, তিনি উপলব্ধি করলেন প্রকৃত জ্ঞান অর্জন কেবল গ্রন্থ বা পুঁথিতে সীমাবদ্ধ হতে পারে না, বরং চারপাশের জগতেই ছড়িয়ে রয়েছে জ্ঞান অর্জনের সমস্ত উপকরণ। আর সেই জ্ঞান অর্জনের উদ্দেশ্যে তিনি বেরিয়ে পড়লেন গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে, শহরের অলিতে গলিতে।





সামাজিক চেতনাবোধের অভ্যুদয়


এই ঘুরে বেড়ানোর মধ্য দিয়েই তিনি চীনের প্রকৃত অবস্থা অনুধাবন করতে শুরু করেন। তখনকার দিনে অর্থনীতির কেন্দ্রে ছিলেন শাসক শ্রেণী ও বণিক সম্প্রদায়। দরিদ্রদের নানাভাবে ঠকিয়ে দেওয়ায় ছিল তাদের কাজ। দেশের আইন-কানুনকে বিশেষ গুরুত্ব দিতেন না তারা। সারাদেশ জুড়ে কেবল অভাব-অনটন, রাজা এবং রাজ পুরুষদের নৈতিক অধঃপতন, দেশে-দেশে যুদ্ধ-বিগ্রহের দামামা বেজেই চলেছে, কোথাও কোনো শান্তি-শৃঙ্খলার লেশমাত্র নেই। এসব দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষদের সচেতন করে তোলার উদ্দেশ্য নিয়ে কনফুসিয়াস শুরু করলেন তার জেহাদ।


কনফুসিয়াস বিশ্বাস করতেন কোনো আইন বা দন্ডের দ্বারা সামাজিক এই বিশৃঙ্খলাকে দমন করা যাবে না। আইন যতই কঠিন হবে, ততই মানুষের আইন অমান্য করার স্পৃহা তীব্র হবে। একমাত্র মানুষের বিবেকবোধ, নীতিবোধই মানুষকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারে। আর এই বিবেকবোধ ও নীতিবোধ মানুষের মাঝে জাগ্রত করতে হবে। ঘটাতে হবে  ধর্মীয় চেতনাবোধের অভ্যুদয়। তার এই চেতনাবোধ তিনি ছড়িয়ে দিতে লাগলেন তার একান্ত ছাত্রদের মধ্যে। আর ছাত্রদের মাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়তে লাগলো বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের মাঝে।




‘অ্যানালেক্টস’ বইয়ে সঙ্কলিত আছে কনফুসিয়াসের সব উপদেশ ; Source: wikimedia commons


আইন প্রশাসক হিসেবে কনফুসিয়াসের ভূমিকা


৫২ বছর বয়সে লু প্রদেশের প্রধান আইনরক্ষকেরদায়িত্ব পান কনফুসিয়াস। কনফুসিয়াস বিশ্বাস করতেন, মানুষের মাঝে যদি নৈতিক চরিত্রের উন্নতি না ঘটে, শুধুমাত্র আইন দিয়ে মানুষকে সংযত রাখা সম্ভব নয়। তাছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে রাজ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখাও সম্ভব নয়। তাই কনফুসিয়াস নিজেই আইন প্রণয়ন কর্মকর্তা ‍ও কর্মচারীদের মাঝে নীতিবোধ জাগাতে নানা উপদেশ দিতে থাকেন।


“অপরাধীদের বিচার করতে গিয়ে বিচারকরা যেন মানবিকতার কথা না ভোলেন কখনও,”


বিচারবিভাগীয় কর্মচারীদের প্রতি এই ছিল তার প্রধানউপদেশ।


“উদার ও ন্যায়পরায়ণ না হলে বিচারক হওয়া যায় না, মানুষকে ভাল না বাসলে তুমি তাকে সংশোধন করবে কী করে”, বলতেনতিনি।


অল্প কিছুদিনেই এর সুফল দেখা দিল রাজ্যে। সমগ্র চীন দেশেই লু রাজ্য ছিল একমাত্র রাজ্য যেখানে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, খুন হতো না। সকলেই নির্ভয়ে, নিরাপদে নিজের দ্রব্য রাখতে পারতো। গভীর রাতেও পর্যটকরা নিরাপদে চলতে পারতো। আইনরক্ষকের দায়িত্ব এত ভালভাবে সম্পাদন করার পুরষ্কার হিসেবে কয়েক বছরের মধ্যেই তাকে ভার দেওয়া হয় লু প্রদেশের প্রধানমন্ত্রীত্বের।


কনফুসিয়াসের পর্যটক জীবন


মহাজনদের হাত থেকে দরিদ্র প্রজাদের বাঁচাতে বাজারের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেঁধে দেন তিনি। এতে বেজায় চটে যান লু প্রদেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়, শেষপর্যন্ত তাদেরই বিরোধীতায় তাকে ছাড়তে হয় প্রধানমন্ত্রীত্বের পদ। তারপর থেকেই কনফুসিয়াসের শুরু হয় পর্যটকের জীবন। উত্তর চীনের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে-ঘুরে মানুষের দুর্দশা দেখে বুঝতে পারেন যে, দেশবাসীর এই দুঃখ-দুর্শার মূলে রয়েছে দেশ শাসনের ব্যর্থতা। যুদ্ধ-বিগ্রহের অবসান ঘটানোর মাধ্যমে সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তন আনার ব্যাপারে তিনি কাজ করে যেতে লাগলেন। জনসাধরণের মাঝে তিনি ছড়িয়ে দিতে থাকেন তার উপদেশ, এ কাজে তাকে সহায়তা করেন তার কয়েকজন ছাত্র ও অনুগামী।





কনফুসিয়াসের পর্যটক জীবন; Source: wikimedia commons


মানবতার প্রতিভূ কনফুসিয়াস


ছেলেবেলা থেকেই কনফুসিয়াস ছিলেন অত্যন্ত সংবেদনশীল, মানুষের দুঃখ-দুর্দশায় কেঁদে উঠতো তার মন। আর তাই তিনি সবসময় বলতেন,


“জীবন দিয়ে মানুষকে অর্জন করতে হবে সততা ও সারল্য, তাছাড়া ঈশ্বরের কাছে পৌঁছবার অন্য কোনো পথ নেই।”


এই ছিল কনফুসিয়াসের শিক্ষার মূল কথা। ধর্মগুরু বলতে সাধারণত যা বোঝায়, কনফুসিয়াস আদৌ তা ছিলেন না। কিন্তু সাধারণ মানুষকে যে উপদেশগুলো তিনি দিতেন তারই মধ্যে নিহিত থাকতো সমস্ত ধর্মের মূল কথা। মানুষকে ভালবাসো, মানুষকে বিশ্বাস করো, অসৎ হয়ো না, হিংসা করো না কাউকে, এই শিক্ষা কি আমাদের দেয় না পৃথিবীর সব ধর্মই?





মহাজ্ঞানীর প্রয়াণ


“শুধু কর্মজীবনেই নয়, পারিবারিক জীবনেও সবাইকে হয়ে উঠতে হবে আদর্শ মানুষ, হয়ে উঠতে হবে আদর্শ পিতা-মাতা, পালন করতে হবে আদর্শ পুত্রকন্যার ভূমিকা, কারণ পরিবারই হলো সে জায়গা যেখানে মানুষের আত্মিক বিকাশের সূত্রপাত,”


সমস্ত মানুষের প্রতি এই ছিল তার উপদেশ। ধারণা করা হয় এই চীনা দার্শনিক খ্রিস্টপূর্ব ৪৭৯ সালে ৭১ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। কুফু নগরীর কাং লি সিমেট্রিতে তাকে সমাধিস্থ করা হয়।





মহামানব কনফুসিয়াসের সমাধি সৌধ; Source: wikimedia commons


কনফুসিয়াস তার এই দীর্ঘ জীবনে ঈশ্বরের চিন্তা করেননি, আধ্যাত্মিক জ্ঞান অর্জনের ব্যাপারেও তার আগ্রহ ছিল না। তিনি সবাইকে ভালবাসার মধ্য দিয়ে মানুষের দুঃখ দূর করে তাদের জন্য শান্তি-সমৃদ্ধির জীবনযাপনের জন্য নিরন্তর কাজ করে গেছেন।  তার মতো আর কারো পক্ষে এত সহজভাবে নীতিবোধের ব্যাখ্যা করা সম্ভব হয়নি। তিনি বলেছিলেন,


“জীবন সত্যিই সহজ, কিন্তু আমরা একে জটিল করে তুলি।”


এর জন্য তিনি মানুষের মাঝে তার আদর্শ, উপলব্ধি ও নীতিজ্ঞান প্রচার করে গেছেন। তার মধ্য দিয়ে মানুষকে জাগ্রত করতে চেয়েছেন।




চীনের মানুষের অস্তিত্বের সাথে সাথে মিশে রয়েছে কনফুসিয়াসের নীতি ও আদর্শের বাণী; Source: GettyImages


আধুনিক চীনের মানুষ এখনও তার এই শিক্ষা পালন করে চলেছেন। ‘অ্যানালেক্টস’ বইয়ে সঙ্কলিত আছে তার সমস্ত উপদেশ। চীনের মানুষের কাছে আজও সেই বইয়ের মর্যাদা এতটুকু কমেনি।


ফিচার ইমেজ: thoughtco.com


 শারীরিক অপূর্নতা থাকলে থাকুক,  কিন্তু মানবিক অপূর্ণতা যেন না থাকে।



Sudipto sarkar.



want#1






একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ