অসাধারণ প্রতিভাবান লোকজনের মস্তিষ্ক সম্পর্কে সাধারণ মানুষের কৌতূহল আছে। তাঁদের মস্তিষ্ক কি সাধারণ মানুষের মস্তিষ্কের তুলনায় অন্য রকম? চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বিস্তর গবেষণা করেছেন। সেই সঙ্গে এই প্রশ্নও উঠে এসেছে, কীভাবে মস্তিষ্ককে আরও ক্ষুরধার করে তোলা যায়? এমন কোনো উপায় কি আছে ছোটবেলা থেকে যার চর্চা বা অনুশীলন করলে মানুষ বুদ্ধিদীপ্ত হতে পারে?
গবেষণায় দেখা যায়, জীবনে মানুষ তার মস্তিষ্কের সামর্থ্যের খুব সামান্যই ব্যবহার করে থাকে। সেই হিসেবে মস্তিষ্কের বড় একটি অংশই অব্যবহৃত থেকে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, মাংসপেশির মতোই মস্তিষ্কেরও যত বেশি চর্চা ও ব্যবহার করা হবে, ততই এটি কর্মক্ষম হয়ে উঠবে। তীক্ষ্ণ বা ক্ষুরধারও হবে। বুদ্ধিমত্তা (আইকিউ) ও স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য সহজ কয়েকটি পরামর্শ:
* কম্পিউটারে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির বিভিন্ন খেলা আছে। এ রকম গেমস খেলতে পারেন। ধাঁধা বা পাজল ও সুডোকুর মতো অনুশীলনের মাধ্যমে মস্তিষ্ককে উদ্দীপিত করা যায়।
* মস্তিষ্কের অব্যবহৃত অংশকে সক্রিয় করতে কিছু কাজ করা যেতে পারে। যেমন: বাম হাতে দাঁত ব্রাশ করা, বাম হাতে পেয়ালা ধরে চা-কফি পান করা ইত্যাদি।
* প্রতিদিন কমপক্ষে ছয় ঘণ্টার ঘুম মস্তিষ্ককে কর্মদক্ষ করে তোলে।
* প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় মাছের উপস্থিতি নিশ্চিত করুন। প্রোটিন এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্ককে সতেজ ও কর্মদক্ষ করে।
* চর্বিজাতীয় খাবার বর্জন করতে হবে এবং প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
* প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটলে বা হালকা ব্যায়াম করলে মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে।
* হালকা ধরনের মিউজিক বা সংগীত মস্তিষ্কের জটিল সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে।
* ধূমপান পরিহার করে এবং উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে অনেক বয়স পর্যন্ত মস্তিষ্ককে কর্মক্ষম রাখা যায়।
* মেধা বা বুদ্ধি বাড়াতে আপনাকে নিজ মস্তিষ্কের সামর্থ্য ব্যবহার নিয়ে সচেতন হয়ে উঠতে হবে।
ডাক্তার সৌমিত্র সরকার
সহযোগী অধ্যাপক, নিউরোসার্জারি বিভাগ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ
0 মন্তব্যসমূহ